গাউস ও কুতুব পৃথিবী পরিচালনা করেন বলে বিশ্বাস করা শিরক gaus-kutub

 - ওমর বিন খাত্তাব


আমাদের দেশে ভ্রান্ত তরীকত ও মারিফাত পন্থীদের মাঝে এমন একটি অদ্ভূত বিশ্বাস রয়েছে যে, আল্লা তা’আলা তাঁর অলিগণের মধ্য থেকে কতিপয় লোকদেরকে পৃথিবীর বিভিন্ন কর্ম পরিচালনা জন্য গাউস, কুতুব ও আবদাল ইত্যাদি পদে নিয়োগ দিয়ে থাকেন। সরকারী ক্ষমতা লাভ, প্রশাসনের বিভিন্ন পদের নিয়োগ, বদলী ও অপসারণ তাঁদেরই ইশারায় নাকি হয়ে থাকে। আল্লাহ তা’আলা তাদের হাতে কাউকে কিছু দেয়া বা না দেয়া, কারো কল্যাণ বা অকল্যাণ করার ক্ষমতা দান করে থাকেন। “দেওয়ানুস সালেহীন” নামে তাঁদের নাকি একটি পরামর্শ পরিষদও রয়েছে। সেখানে বসেই তাঁরা যাবতীয় বিষয়ের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন এবং সে অনুযায়ী ফরমান জারী করেন। এমনকি তাঁদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ীই নাকি আদালতের যাবতীয় রায়সমূহ জারী হয়ে থাকে।[১]

এ জাতীয় ধারণার পরিপ্রেক্ষিতেই বড় পীর আব্দুল কাদির জীলানীকে “গাউসুল আযম” (বড় উদ্ধারকারী) বলে নামকরণ করা হয়েছে। এ ধারণার ভিত্তিতেই পীরদের ভক্তগণ তাদের পীর সাহেবদেরকে “যামানার কুতুব” নামে খেতাব দিয়ে থাকেন। গাউস ও কুতুব সম্পর্কিত এ বিশ্বাস যে শুধু সাধারণ মানুষের মধ্যেই রয়েছে তা নয়, এ ধরনের বিশ্বাস অনেক আলেমদের মাঝেও রয়েছে। যার জ্বলন্ত প্রমাণ হলেন জমঈয়াতুল মুদাররিসীনের সভাপতি ও ইনকিলাব পত্রিকার মালিক মাওলানা আব্দুল মান্নান। তিনি তাঁর পত্রিকায় এ মর্মে একটি প্রবন্ধ বিগত ২৮/৯/১৯৯৭ সালে প্রকাশ করেছিলেন। যার উদ্ধৃতি প্রথম অধ্যায়ে প্রদান করা হয়েছে। গাউস ও কুতুব সম্পর্কিত এ জাতীয় চিন্তাধারা ভারতবর্ষের মুসলিম সমাজ ব্যতীত অন্যান্য মুসলিম দেশের মুসলিমদের মাঝে নেই। এ জাতীয় চিন্তাধারা তাদের মধ্যে প্রসারিত হওয়ার পিছনে কিছু হাদীস রয়েছে যেগুলো দূর্বল অথবা মাওযু হওয়ার ব্যাপারে হাদীস বিশেষজ্ঞগণের মাঝে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।[২]

ইমাম ইবনে তাইমিয়্যাহ এ জাতীয় বিশ্বাস সম্পর্কে বলেনঃ “এ সব বাতিল বিশ্বাস। আল্লাহর কিতাব এবং তাঁর রাসূলের সুন্নাতে এ সবের কোনই ভিত্তি নেই, মুসলিম উম্মাহের অগ্রবর্তীদের মধ্যকার কেউ তা বলেন নি। তাদের ইমামগণও তা বলেন নি এবং অনুসরণীয় অগ্রবর্তী বড় বড় পীর মাশায়েখগণও এ সব বলেন নি…”।[৩]

এ সম্পর্কে আল্লামা সুনউল্লাহিল হালাবী হানাফী[৪] বলেনঃ “গাউস, কুতুব ও আবদাল ইত্যাদি সম্পর্কিত বিশ্বাস মুসলিমদের মিথ্যা রচিত বিশ্বাসের অন্তর্গত”।[৫]

আমাদের দেশে এমন সব লোকও রয়েছেন যারা এ বিশ্বাস করেন যে, মহান আল্লাহ অলিগণের আকৃতিতে আত্মপ্রকাশ করে থাকেন বিধায়, অলিগণের পরিচালনাগত শক্তি সীমাহীন হয়ে থাকে। তারা আরো বিশ্বাস করেন যে, ইতোপূর্বে আল্লাহ তা’আলা বাগদাদ, আজমীর ও মাইজভাণ্ডারে নিজের আত্মপ্রকাশ ঘটিয়েছিলেন। সে জন্য মাইজভাণ্ডারের ভক্তদেরকে এ জাতীয় ধারণা প্রকাশ করে কবিতা লিখতেও দেখা যায়। যেমন মাইজভাণ্ডারের এক হিন্দু ভক্ত লিখেছেঃ

হায়রে দয়াল ভাণ্ডারী  /দোজাহানের মালিক আমার জগতের কাণ্ডারী  (মাওলারে) / তোমার নাম নিয়ে দিলাম ভব সাগরে পাড়ি  / পুলসেরাতে পার করিও দিয়ে চরণ তরী  (মাওলারে)/ মানুষরূপে এলে চিনতে না পারি  / তুমি যদি দয়া কর এক পলকে তরি  (মাওলারে) / মদিনা, বাগদাদ, আজমিরের খেলা সাঙ্গ করি  / চট্রগ্রামে রোশন করিলা হইয়া ভাণ্ডারী (মাওলারে)/ নাম শুনে তোমার দরজায় হয়েছি ভিখারী  / রমেশ বলে দোহাই তোমার এক নজরে চাও ফিরি [৬]

কী আশ্চর্য যে, এ লোকটি একজন হিন্দু ধর্মাবলম্বী হওয়া সত্ত্বেও আহমদুল্লাহ মাইজভাণ্ডারীর একজন প্রথম শ্রেণীর উপাসকে পরিণত হয়েছে। হিন্দুরা যেমন তাদের রাম, কৃষ্ণ ও শিব ইত্যাদি দেবতাদের ব্যাপারে এরা আল্লাহর অবতার বলে বিশ্বাস করে ঠিক তেমনি এ ব্যক্তি মাইজভাণ্ডারীর বেলায়ও একই ধারণা পোষণ করছে। সে তার অপর এক কবিতায় বলেছেঃ ভাণ্ডারীর পা নিয়ে সর্বদা চিন্তা করলে কখনও বিপদ হয় না। মানুষের পাপ মোচনের জন্যই মাইজভাণ্ডারে তাঁর শুভাগমন হয়েছিল। ভাণ্ডারীর পায়ের কথা চিন্তা করলে কাবা, কাশী ও বৃন্দাবন সবই পাওয়া যায়। তাঁর প্রতি ভক্তি রেখে মুখে ভাণ্ডারী নাম জপ করলে আখেরাতে মুক্তি পাওয়া যাবে। কেননা আখেরাতে ভাণ্ডারী ব্যতীত পার পাবার কোনো উপায় নেই। নিম্নে বর্ণিত তার কবিতার দ্বারা তার এ সব বক্তব্য প্রকাশিত হয়েছে। যেমন সে বলেছেঃ

ভাব অবোধ মন হরদমে ভাণ্ডারী চরণ

ঐ চরণে শরণ নিলে বিপদ হয় না কদাচন

মাইজভাণ্ডারীর জোর কদমে কী ফল আছে জান না,

পাপীর ভাগ্যে দেখা দিল ভাণ্ডারেতে মাওলানা

ঐ কদম বরকতে পাবি কাবা কাশী বৃন্দাবন

মাওলার প্রতি ভক্তি রাখ মুখে ডাক ভাণ্ডারী,

মাওলা বিনে আর কেহ নেই নিতে যাবে পার করি [৭]

শুধু এখানেই শেষ নয়, সে আরো দূর অগ্রসর হয়ে ভাণ্ডারীকে মানুষের ভাগ্যের উপর হস্তক্ষেপকারী ও তাদের যাবতীয় সুখ দুঃখের মালিক বানিয়ে দিয়েছে। এ পর্যায়ে সে বলেছেঃ

কালি তোমার কলম তোমার

সুখ দুঃখ লিখা সকল তোমার

কে খন্ডাবে তুমি না খন্ডালে [৮]

মাইজভাণ্ডারের মুসলিম ভক্তরা হয়তো উপর্যুক্ত সকল বিষয়ে এ ব্যক্তির চিন্তাধারার সাথে একমত নাও হতে পারেন। তবে একজন মানুষের পথভ্রষ্টতার জন্য তো তার একটি ভ্রান্ত ধারণাই যথেষ্ট। মাইজভাণ্ডারের বার্ষিক ওরসে যে সকল মুসলিমরা তাদের ভাগ্য পরিবর্তন ও সমস্যাদির সমাধান পাবার জন্য মানতের জীব, জন্তু ও নগদ টাকা অকাতরে বিলিয়ে দেন, সে সবই তাদের শিরকী কর্মে লিপ্ত থাকার দলীল হওয়ার জন্য যথেষ্ট। সেখানকার বার্ষিক ওরসে যে হারে হিন্দু, মুসলিম নির্বিশেষে সবাই ভিড় জমায়, তাতে মনে হয় মাইজভাণ্ডার যেন সকল ধর্মাবলম্বী লোকদের জন্য একটি মহামিলন কেন্দ্র। এ সম্পর্কে সে ব্যক্তির ভাষ্য নিম্নরূপঃ

আয়রে আয় রহমান মনজেলে মাইজভাণ্ডার

ঔরস মেলা প্রেমের খেলা দেখবি আশেকের গোলজার

দুই দিকে দুই রওজা বাত্তি জ্বলে অনিবার

হালকা তালে আশেক নাচে আল্লাহু জিকির সার

উট, গরু, গয়াল, মৈষ সংখ্যা নাই ছাগল ভেড়ার

মাঝে মাঝে নলকুপ আছে পিঁপাসী লোক পানি খায়

কেহ ছিটে আতর গোলাপ বাবাজানের হুজুরায়

বাবাজানের পশ্চিম পার্শ্বে রওজা শাজাদার

কেহ রান্ধে কেহ খাওয়ায় খেদমতে আছে মশগুল

নানা রকম বাদ্য বাজে হক ভাণ্ডারী শব্দমূল

হিন্দু, মুসলিম, খৃষ্টান, বৌদ্ধ মিলন কেন্দ্র প্রেম দরবার [৯]

সূত্রঃ মুহাম্মাদ মুযযাম্মিল আলী কর্তৃক রচিত “শিরক কি ও কেন” কিতাব থেকে সংগৃহীত

[১] মাওলানা ফজলুল হক নামে “ফাজিলে দেওবন্দ” ডিগ্রী অর্জনকারী মাদ্রাসা-ই-আলীয়া, ঢাকার একজন বিশিষ্ট শিক্ষক ছিলেন। দেওবন্দে অধ্যয়নকালে তিনি এ সম্পর্কিত কিছু ঘটনা শ্রবণ করেছিলেন। তন্মধ্যকার একটি ঘটনা নিম্নরূপঃ একদা এক ব্যক্তি খুনের দায়ে অভিযুক্ত হলে তার বিরুদ্ধে মকদ্দমা হয়। লোকটিকে নির্দোষ সাব্যস্ত করে খালাস করে আনার জন্য তার আত্মীয়-স্বজনরা মকদ্দমা চলাকালীন সময়ে একজন বিশিষ্ট আলেমের মাধ্যমে সে সময়ে যিনি দিল্লীর গাউস ছিলেন, তাঁর শরণাপন্ন হয়। গাউস বিষয়টি তাঁদের দেওয়ানে আলোচনা করেন এবং লোকটিকে নির্দোষভাবে খালাসের সিদ্ধান্ত পাশ করেন। পরবর্তীতে আদালতের বিচারকও সে অনুযায়ী তাকে নির্দোষ বলে রায় প্রদান করেন। [সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট গল্প]

[২] কেউ কেউ মুগীরাহ ইবনে শুবাহ রাদিয়াল্লাহু আনহুর দাস হেলাল এর ব্যাপারে এ সম্পর্কিত হাদীস বর্ণনা করেছেন, সে হাদীসে রয়েছেঃ তিনি কুতুবদের মধ্যকার একজন ছিলেন। এ হাদীসটি হাদীস বিশেষজ্ঞদের ঐকমত্যের ভিত্তিতে বাতিল বলে গৃহীত হয়েছে। আবু নাঈম তাঁর “হিলয়াতুল আউলিইয়া” গ্রন্থে এবং শেখ আব্দুর রহমান আস সুলামী তাঁর কোনো কোনো গ্রন্থে এ সম্পর্কিত কিছু হাদীস বর্ণনা করেছেন। তা দেখে কারো ধোঁকায় পড়ার কোন অবকাশ নেই। কারণ তাদের কিতাবাদিতে সহীহ, হাসান, যয়ীফ ও মাওদু তথা মিথ্যা হাদীসের সমাহার রয়েছে যেগুলো মিথ্যা হওয়ার ব্যাপারে হাদীস বিশারদদের মধ্যে কোনো মতবিরোধ নেই। এ ছাড়া আবুস শেখ নামক মুহাদ্দিস এর বর্ণিত হাদীসসমূহের মধ্যে এমন সব বর্ণনাকারীদের হাদীস রয়েছে যারা হাদীসের মধ্যে বিশুদ্ধ আর বাতিল বলে কোনো পার্থক্য না করে যা-ই শ্রবণ করেছেন তা-ই বর্ণনা করার নীতি অবলম্বনকারী ছিলেন। যদিও প্রকৃত হাদীস বেত্তাগণ এ ধরনের হাদীস বর্ণনা করতেন না, এ কারণে যে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে বিশুদ্ধ সনদে প্রমাণিত হয়েছে তিনি বলেছেনঃ

“একটি হাদীস মিথ্যা জানা সত্ত্বেও যে আমার পক্ষ থেকে তা বর্ণনা করলো, সে মিথ্যুকদের মধ্যকারই একজন”। দেখুনঃ ইবনে তাইমিয়্যাহ, যিয়ারাতুল কুবূরি ওয়াল ইস্তেনজাদি বিল মাকবূর (রিয়াদঃ আর রিয়াসাতুল আম্মাহ, দারুল ইফতা, ১ম সংস্করণ, ১৪১০হিঃ) পৃষ্ঠা ৬৫।

[৩] ইমাম ইবনে তাইমিয়্যাহ রহিমাহুল্লাহকে গাউস ও কুতুব সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেনঃ কোনো কোনো দলের লোকেরা এ সব কথা বলে থাকে এবং ইসলাম ধর্মের মধ্যে বাতিল বিষয়ে এ সবের ব্যাখ্যা করে। যেমন কেউ কেউ বলেঃ গাউছ হলেন তিনি যার মাধ্যমে সমগ্র সৃষ্টির সাহায্য ও জীবিকা এসে থাকে। এমনকি তারা আরো বলে যে, ফেরেশতা ও সমুদ্রের মাছের সাহায্যও গাউসের মাধ্যমে হয়ে থাকে। এ জাতীয় ধারণা ঈসা আলাইহিস সালাম এর ব্যাপারে খ্রিষ্টানরা এবং আলী রাদিয়াল্লাহু আনহুর ব্যাপারে বাড়াবাড়িকারীরা তাঁর ব্যাপারে যা বলে, সে সব কথারই অনুরূপ। এ জাতীয় ধারণা ও কথা প্রকাশ্য কুফরী। যারা এ সব বলবে তাদেরকে তাওবা করাতে হবে। তাওবা না করলে এদেরকে (মুরতাদ হওয়ার কারণে) হত্যা করা হবে। কেননা, সৃষ্টির মাঝে এমন কোনো ফেরেশতা বা মানুষ নেই যার মাধ্যমে সকল সৃষ্ট জীবের সাহায্য এসে থাকে…। গাউস শব্দের দ্বারা আমি এটাই উদ্দেশ্য করেছি যা এদের কেউ কেউ বলে যে, পৃথিবীতে ৩১৩ জনেরও অধিক ব্যক্তি রয়েছেন যাদেরকে “নুজাবা” বলা হয়, তাঁদের মধ্য থেকে পুনরায় ৭০ জনকে বাছাই করা হয়, যাদেরকে বলা হয় “নুক্বাবা”। এদের মধ্য থেকে ৪০ জনকে বাছাই করা হয়, তাঁদেরকে বলা হয় “আবদাল”। এদের মধ্য থেকে আবার সাত জনকে বাছাই করা হয়, তাঁদেরকে বলা হয় “আকতাব”। এদের মধ্য থেকে আবার চার জনকে বাছাই করা হয়, তাঁদেরকে বলা হয় “আওতাদ”। এদের মধ্য থেকে আবার একজনকে বাছাই করা হয়, যাকে বলা হয় “গাউস”। এরপর তিনি বলেনঃ এ সম্পর্কে প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত যা বলা হলো, এর সবই বাতিল। প্রাগুক্ত; পৃষ্ঠা ৬৩-৬৪।

[৪] তিনি ১৭০৮ সালে মৃত্যুবরণ করেন। তাঁর সময়ে তিনি মক্কা শরীফে হানাফী মাযহাবের একজন প্রখ্যাত আলিম ছিলেন। একজন বিশিষ্ট ওয়াইয, ফক্বীহ ও মুহাদ্দিস ছিলেন। দেখুনঃ উমার রেজা কাহহালাহ, মুযামুল মুআল্লিফীন; (বৈরুতঃ মুআসসাসাতুর রিসালাহ, ১ম সংস্করণ, ১৯৯৩ খ্রিঃ) ১/৮৪৩।

[৫] এ জাতীয় বিশ্বাস প্রত্যাখ্যান উপলক্ষে তিনি বলেনঃ “মুসলিমদের মাঝে এমন কিছু দলের আবির্ভাব ঘটেছে যারা এ দাবী করে যে, ওলিগণ জীবিত হোন আর মৃত হোন সর্বাবস্থায় জগত পরিচালনার ক্ষেত্রে তাঁদের দায়িত্ব রয়েছে, বিপদাপদে তাঁদের নিকট সাহায্য কামনা করা যায়… তাঁদের মাঝে রয়েছেন আবদাল, নুকাবা, আওতাদ ও নুজাবা… কুতুবই হলেন সমগ্র মানুষের বিপদে সাহায্যকারী…। তিনি বলেনঃ এ জাতীয় কথার মধ্যে বাড়াবাড়ি রয়েছে বরং এর মধ্যেই চিরস্থায়ী ধ্বংস ও শাস্তি অনিবার্য হয়ে রয়েছে। কেননা এতে নিশ্চিতভাবে শিরক রয়েছে। কুরআনের সাথে রয়েছে এর বিরোধ, সকল ইমাম ও মুসলিম উম্মাহের ঐকমত্যের ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত আক্বীদার সাথেও এর বিরোধ ও বৈপরীত্য রয়েছে…। মুত্যুর পরেও ওলিগণ মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করতে পারেন, এ জাতীয় বিশ্বাস সবচেয়ে জঘন্যতম বিশ্বাস…। আবদাল ও গাউস সম্পর্কে লোকেরা যা বলে তা তাদের মিথ্যা বানানো গল্প বৈ আর কিছুই নয়। দেখুনঃ শেখ সুলাইমান ইবন আব্দুল্লাহ ইবন মুনী, প্রাগুক্ত; পৃষ্ঠা ২৩২-২৩৪।

[৬] স্বর্গীয় রমেশ চন্দ্র সরকার, মুক্তির দরবার; (চট্রগ্রামঃ শ্রী পুলিন বিহারী শীল, সংস্করণ বিহীন, ১৯৯২ খ্রিঃ) পৃষ্ঠা ৮।

[৭] তবেদ, পৃষ্ঠা ২ [৮] তদেব, পৃষ্ঠা ১১ [৯] তদের, পৃষ্ঠা ৮

Source: https://umarbinkhattab.medium.com/


No comments:

Post a Comment